সিভিল এভিয়েশন স্কুল এন্ড কলেজ,কুর্মিটোলা

সিভিল এভিয়েশন স্কুল এন্ড কলেজ,কুর্মিটোলা

History

প্রতিষ্ঠান নিয়ে কিছু কথা

ঢাকার কুর্মিটোলায় অবস্থিত দেশের অন্যতম শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সিভিল এভিয়েশন স্কুল এন্ড কলেজ (Civil Aviation School and College)

সিভিল এভিয়েশন অথরিটি অব বাংলাদেশ কর্তৃক ১৯৭৮ সালের ২২ জানুয়ারি বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সন্তানদের লেখাপড়ার নিমিত্তে সিভিল এভিয়েশন প্রাথমিক বিদ্যালয় নামে এ প্রতিষ্ঠানটি নির্মিত হয়। প্রথমে ৩ জন শিক্ষক ও মোট ১২২ জন শিক্ষার্থী নিয়ে পাঠদান কার্যক্রম শুরু হয়।

১৯৮৩ সালে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের অনুমোদনের প্রেক্ষিতে প্রতিষ্ঠানটির নাম পরিবর্তন করে ˝সিভিল এভিয়েশন উচ্চ বিদ্যালয়˝ করা হয়। এ বছরেই প্রথম এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে শিক্ষার্থীরা অভাবনীয় সাফল্য অর্জন করে। 

১৯৯৪ সালে স্কুলের এক ছাত্রী ঢাকা বোর্ডে ১৮ তম এবং ১৯৯৫ সালে এক ছাত্রী ১৮তম ও আরেকজন ছাত্র ২০তম স্থান অধিকার করে।

 

এরপর দীর্ঘ ২২ বছর এ প্রতিষ্ঠান নিজ গতিতে চলতে থাকে। বিভিন্ন উত্থান-পতন ও সংগ্রামের মধ্যে দিয়ে ২০২১ সালে প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ হিসেবে যোগদান করেন উইং কমান্ডার মোঃ মনিরুজ্জামান, পিএসসি। তাঁর নেতৃত্বে প্রতিষ্ঠান দুর্বার গতিতে এগিয়ে যেতে থাকে।

 

উইং কমান্ডার মোঃ মনিরুজ্জামান অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পরপরই পুরো প্রতিষ্ঠানের সকল বিষয়কে ঢেলে সাজিয়ে প্রতিষ্ঠানকে এক অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যান। তাঁর ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় ২০২২ সালের ৫ই এপ্রিল প্রতিষ্ঠানটি উচ্চ মাধ্যমিকে পাঠদানের অনুমোদন প্রাপ্ত হয়। তখন থেকে প্রতিষ্ঠানটি ˝সিভিল এভিয়েশন স্কুল এন্ড কলেজ˝ নামে নতুন আঙ্গিকে পরিচিতি লাভ করে। সময়ের প্রয়োজনকে প্রাধান্য দিয়ে ২০২২ সালে মাধ্যমিক শাখায় প্লে থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত ইংরেজি ভার্সনে পাঠদান কার্যক্রম শুরু হয় এবং ২০২৪ সালে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের অনুমতিক্রমে কলেজ শাখায় ইংরেজি ভার্সনে পাঠদানের কার্যক্রম শুরু হয়। 

 

৩ একর জমির উপর প্রতিষ্ঠিত এ প্রতিষ্ঠানের ছাত্রীদের জন্য প্রভাতী শিফটে ও ছাত্রদের জন্য দিবা শিফটে মোট ৬৭টি সেকশনে প্রায় ৩৪০০ জন শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত আছে। এখানে শিশু শ্রেণি থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের একাডেমিক কার্যক্রমের পাশাপাশি বিজ্ঞান, সাহিত্য, সংস্কৃতি ও ক্রীড়া প্রতিযোগিতাসহ নানামুখী সহশিক্ষা কার্যক্রম পরিচালিত হয়। নানা প্রতিকূলতা মোকাবেলা করে প্রতিষ্ঠানটি ২০২৩ ও ২০২৪ সালে মাধ্যমিক পরীক্ষায় শতভাগ পাশের গৌরব অর্জন করেছে। এর মধ্যে ২০২৩ সালে মাধ্যমিক পরীক্ষায় ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের একজন শিক্ষার্থী ঢাকা শিক্ষা বোর্ডে প্রথম স্থান অধিকার করে। পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানটি সহশিক্ষা কার্যক্রমে নানাবিধ সাফল্যের স্বাক্ষর
রেখে উন্নয়নের পথে অগ্রসরমান। 

অভিজ্ঞতা, বিচক্ষণতা, সততা, একনিষ্ঠতা আর নিরলস শ্রম দিয়ে দক্ষতার সাথে অধ্যক্ষ মোঃমনিরুজ্জামান সিভিল এভিয়েশন স্কুল এন্ড কলেজকে স্বনামধর্মী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানরূপে দাঁড় করাতে সক্ষম হয়েছেন। একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় উন্নত প্রযুক্তিনির্ভর শিক্ষা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে লেখাপড়ার মানোন্নয়ন, প্রয়োজনীয় শিক্ষা উপকরণের ব্যবহার ও শ্রেণিকক্ষে উন্নত ও আধুনিক প্রযুক্তিতে পাঠদানের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মৌলিক ও সৃজনশীল কাজে উৎসাহিত এবং দক্ষ করে তুলতে সিভিল এভিয়েশন স্কুল এন্ড কলেজ দৃঢ় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।



উন্নত ক্লাসরুম: সিসিটিভি ও মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টরসহ উন্নত ও আধুনিক ক্লাসরুম এ প্রতিষ্ঠানের পাঠদানকে করেছে আকর্ষণীয়। এছাড়া প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে নিশ্চিত করতে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে সিসিটিভি ক্যামেরা ব্যবহার করা হয়েছে।

 

আধুনিক বিজ্ঞানাগার: বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীদের জন্য আধুনিক সুযোগ সুবিধা সমন্বিত পৃথক শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত বিজ্ঞানাগারের সুব্যবস্থা করা হয়েছে।

 



সুসজ্জিত গ্রন্থাগার: শিক্ষার্থীদের জ্ঞানকে সমৃদ্ধ ও পরিশীলিত করার জন্য একটি বৃহদাকারের সুসজ্জিতগ্রন্থাগারের ব্যবস্থা রয়েছে। যেখানে বিদ্যালয় ও কলেজ শাখার শিক্ষার্থীদের জন্য পাঠ্যক্রম সমন্বিত পাঠ্যক্রমের বাইরে বিভিন্ন লেখকের বইপাঠের সুব্যবস্থা রাখা হয়েছে।





 

 খেলার প্রশস্ত মাঠ ও পার্ক: শিক্ষার্থীদের জন্য এ প্রতিষ্ঠানে একটি সুপ্রশস্ত খেলার প্রশস্তমাঠ ও প্রাথমিক শাখার কোমলমতি শিশুদের জন্য একটি সুসজ্জিত পার্কের ব্যবস্থা রয়েছে।





 একাধিক ক্লাব: বাংলা ও ইংরেজি বিতর্ক সহ বিভিন্ন সহশিক্ষামূলক কার্যক্রমে শিক্ষার্থীদের উৎসাহী করার জন্য এ প্রতিষ্ঠানে একাধিক ক্লাব পরিচালিত হয়ে আসছে।








 স্বাস্থ্যকর খাবারের ব্যবস্থাসমন্বিত ক্যান্টিন: শিক্ষার্থীদের সুস্থতার কথা বিবেচনায় রেখে সম্পূর্ন নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় স্বাস্থ্যকর খাবারের সুবিধা সমন্বিত একটি ক্যান্টিন পরিচালিত হয় এ প্রতিষ্ঠানে।


এভাবে বহুমাত্রিক উপায়ে প্রতিটি শিক্ষার্থীকে একজন আলোকিত মানুষ হিসেবে গড়ার প্রত্যয়ে এ প্রতিষ্ঠান অগ্রসর হচ্ছে। ভবিষতেও এ প্রতিষ্ঠান তার কাঙ্খিত সফলতা লাভে সমর্থ হবে বলে সকলের প্রত্যাশা।


পরিবহন ব্যবস্থা: শিক্ষার্থীদের জন্য প্রতিষ্ঠানে যাতায়াতের নিরাপদ ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে আমাদের রয়েছে নিজস্ব পরিবহন সুবিধা।



 সহশিক্ষা কার্যক্রম: চিত্তবিনোদনের জন্য ও পাঠ্যপুস্তকভিত্তিক শিক্ষাকে বাস্তবমুখীকরণের লক্ষ্যে ছাত্র-ছাত্রীদেরকে প্রতি বছর শিক্ষাসফরে নিয়ে যাওয়া হয়। আয়োজন করা হয় বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার।


অধ্যক্ষ মহোদয়সহ অভিজ্ঞ শিক্ষকমণ্ডলী কর্তৃক পাঠদান অধ্যক্ষ মহোদয়সহ অভিজ্ঞ শিক্ষকমণ্ডলী শ্রেণিকক্ষে পাঠদান করেন। ক্লাস চলাকালীন অধ্যক্ষ মহোদয় শ্রেণিকক্ষে উপস্থিত হয়ে পাঠ্য কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করেন।


Solverwp- WordPress Theme and Plugin