সিভিল এভিয়েশন স্কুল এন্ড কলেজ,কুর্মিটোলা

সিভিল এভিয়েশন স্কুল এন্ড কলেজ,কুর্মিটোলা

History

প্রতিষ্ঠান নিয়ে কিছু কথা

সিভিল এভিয়েশন স্কুল এন্ড কলেজ,কুর্মিটোলা ঢাকা মহানগরীর একটি ঐতিহ্যবাহী ও প্রসিদ্ধ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। জাতির ভবিষৎ সুনাগরিক তৈরির স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করার লক্ষ্যে এ প্রতিষ্ঠান শিক্ষার আলো বিকশিত করে যাচ্ছে প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে।

মূলমন্ত্র: “শিক্ষাই আলো জ্ঞানই শক্তি” প্রতিষ্ঠালগ্নে থেকে এ মূল মন্ত্রকে ধারণ করেই এ প্রতিষ্ঠান তার সকল কার্যক্রম পরিচালনা করছে।

লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য: “সঠিক জ্ঞান চর্চার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের চিন্তা চেতনায় এবং কর্মে সৃজনশীলতা ও মানব সেবাবোধ জাগ্রত করা”- এ লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে এ প্রতিষ্ঠান তাদের শিক্ষাদান প্রক্রিয়াকে অব্যাহত রেখেছে।

আধুনিক যুগের সাথে তাল মিলিয়ে চলার জন্য শিক্ষার্থীকে জীবনদক্ষতায় উন্নত করে তোলাই আমাদের লক্ষ্য।

প্রতিষ্ঠানের অন্যতম উদ্দেশ্য হলো শিক্ষণ-শিখন কৌশল ও সহজবোধ্য পদ্ধতির সাহায্যে বাস্তব, জীবনমুখী এবং একীভূত শিক্ষা নিশ্চিত করা।

অবস্থান: বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ দ্বারা পরিচালিত এ প্রতিষ্ঠানটি ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের কুর্মিটোলাস্থ হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর আবাসিক এলাকায় অতি মনরোম পরিবেশে অবস্থিত।

প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠার ইতিহাস: বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের বরাদ্দকৃত তিন একর জমির উপর ১৯৭৮ সালের ০১ জানুয়ারি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর এলাকায় একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় হিসেবে যাত্রা শুরু করে এ প্রতিষ্ঠান। পরবর্তীতে ১৯৮১ সালে জুনিয়র হাই স্কুল এবং ১৯৮২ সালে একটি পূর্ণাঙ্গ উচ্চ বিদ্যালয়ে উন্নীত হয়। ১৯৮৪ সালে এ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা প্রথম বারের এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে ভালো ফলাফল অর্জন করে। পরবর্তীকালে শিক্ষার্থী বেড়ে যাওয়ায় শিক্ষাবর্ষ ১৯৯২ সাল থেকে ঢাকা শিক্ষা বোর্ড দুটি শিফট খোলার অনুমতি প্রদান করে। বর্তমানে প্রভাতি (বালিকা) ও দিবা (বালক) দুটি শাখায় বিদ্যালয় এবং একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির বিজ্ঞান, ব্যবসায় শাখা ও মানবিক বিভাগে কলেজ পাঠদান করানো হচ্ছে।  

প্রতিষ্ঠানের বর্তমান পরিস্থিতি: ২০২০ সালে বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের সম্মানিত চেয়ারম্যান মহোদয়ের নির্দেশনায় এ প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটি শূন্য প্রধান শিক্ষক পদে বাংলাদেশ বিমান বাহিনী থেকে প্রেরণে অধ্যক্ষ নিয়োগের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। এ ধারাবাহিকতায় ৫ সেপ্টেম্বর ২০২০ তারিখ বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর উইং কমান্ডার শফিকুল ইসলাম মোল্লা নিয়োগপ্রাপ্ত হন। তিনি অত্যন্ত দক্ষতার সাথে এ প্রতিষ্ঠানে অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করেন। এরপর ০৪ মে ২০২১ তারিখে  উইং কমান্ডার মো. মনিরুজ্জামান,পিএসসি  এ প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ হিসেবে যোগদান করেন। যোগদানের পরপরই তার অক্লান্ত প্রচেষ্টায় এ প্রতিষ্ঠানের সামগ্রিক চিত্র পরিবর্তিত হয়। একটি আধুনিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে এ প্রতিষ্ঠানের বর্তমান পরিচিতি তুলে ধরাই এ তথ্য বিবরনীর প্রতিবেদনের বিবরণীর উদ্দেশ্য।

কলেজ শাখার সূচনা:  বর্তমান অধ্যক্ষ মহোদয় এ প্রতিষ্ঠানের যোগদানের পর থেকেই কলেজ শাখার অনুমোদনের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরে যোগাযোগ শুরু করেন। তার প্রচেষ্টায় ২০২২-২০২৩ শিক্ষাবর্ষ থেকে একাদশ শ্রেণিতে বিজ্ঞান, ব্যবসায় শিক্ষা ও মানবিক বিভাগে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হয়। এ উদ্দেশ্যে মেধাবী ও অভিজ্ঞ শিক্ষকমন্ডলী নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

ইংরেজি মাধ্যমে পাঠদান শুরু: ২০২২ সাল থেকে এ প্রতিষ্ঠানে বাংলা মাধ্যমের পাশাপাশি ইংরেজি মাধ্যমের পাঠদান শুরু হয়। এ জন্য একাধিক যোগ্য ও অভিজ্ঞ শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হয়।

উন্নত ক্লাসরুম: সিসিটিভি ও মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টরসহ উন্নত ও আধুনিক ক্লাসরুম এ প্রতিষ্ঠানের পাঠদানকে করেছে আকর্ষণীয়। এছাড়া প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে নিশ্চিত করতে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে সিসিটিভি ক্যামেরা ব্যবহার করা হয়েছে।

আধুনিক বিজ্ঞানাগার: বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীদের জন্য আধুনিক সুযোগ সুবিধা সমন্বিত পৃথক শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত বিজ্ঞানাগারের সুব্যবস্থা করা হয়েছে।

সুসজ্জিত গ্রন্থাগার: শিক্ষার্থীদের জ্ঞানকে সমৃদ্ধ ও পরিশীলিত করার জন্য একটি বৃহদাকারের সুসজ্জিতগ্রন্থাগারের ব্যবস্থা রয়েছে। যেখানে বিদ্যালয় ও কলেজ শাখার শিক্ষার্থীদের জন্য পাঠ্যক্রম সমন্বিত পাঠ্যক্রমের বাইরে বিভিন্ন লেখকের বইপাঠের সুব্যবস্থা রাখা হয়েছে।

খেলার প্রশস্ত মাঠ ও পার্ক: শিক্ষার্থীদের জন্য এ প্রতিষ্ঠানে একটি সুপ্রশস্ত খেলার প্রশস্তমাঠ ও প্রাথমিক শাখার কোমলমতি শিশুদের জন্য একটি সুসজ্জিত পার্কের ব্যবস্থা রয়েছে।

একাধিক ক্লাব: বাংলা ও ইংরেজি বিতর্ক সহ বিভিন্ন সহশিক্ষামূলক কার্যক্রমে শিক্ষর্থীদের উৎসাহী করার জন্য এ প্রতিষ্ঠানে একাধিক ক্লাব পরিচালিত হয়ে আসছে।

স্বাস্থ্যকর খাবারের ব্যবস্থাসমন্বিত ক্যান্টিন: শিক্ষার্থীদের সুস্থতার কথা বিবেচনায় রেখে সম্পূর্ন নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় স্বাস্থ্যকর খাবারের সুবিধা সমন্বিত একটি ক্যান্টিন পরিচালিত হয় এ প্রতিষ্ঠানে।

এভাবে বহুমাত্রিক উপায়ে প্রতিটি শিক্ষার্থীকে একজন আলোকিত মানুষ হিসেবে গড়ার প্রত্যয়ে এ প্রতিষ্ঠান অগ্রসর হচ্ছে। ভবিষতেও এ প্রতিষ্ঠান তার কাঙ্খিত সফলতা লাভে সমর্থ হবে বলে সকলের প্রত্যাশা।

পরিবহন ব্যবস্থা: শিক্ষার্থীদের জন্য প্রতিষ্ঠানে যাতায়াতের নিরাপদ ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে আমাদের রয়েছে নিজস্ব পরিবহন সুবিধা।

সহশিক্ষা কার্যক্রম: চিত্তবিনোদনের জন্য ও পাঠ্যপুস্তকভিত্তিক শিক্ষাকে বাস্তবমুখীকরণের লক্ষ্যে ছাত্র-ছাত্রীদেরকে প্রতি বছর শিক্ষাসফরে নিয়ে যাওয়া হয়। আয়োজন করা হয় বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার।

অধ্যক্ষ মহোদয়সহ অভিজ্ঞ শিক্ষকমণ্ডলী কর্তৃক পাঠদান অধ্যক্ষ মহোদয়সহ অভিজ্ঞ শিক্ষকমণ্ডলী শ্রেণিকক্ষে পাঠদান করেন। ক্লাস চলাকালীন অধ্যক্ষ মহোদয় শ্রেণিকক্ষে উপস্থিত হয়ে পাঠ্য কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করেন।

অন্যান্য বৈশিষ্ট্যসমূহ:

* সুশৃঙ্খল, ধুমপানমুক্ত ও অরাজনৈতিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ।

* গরিব ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের বিনা বেতনে/ অর্ধ-বেতনে অধ্যয়নের বিশেষ সুযোগ।

* পরীক্ষাসহ অন্যান্য ক্ষেত্রে বিশেষ কৃতিত্বের জন্য শিক্ষার্থীদের পুরস্কার প্রদান ।

* শিক্ষার্থীদের বিষয়ভিত্তিক দুর্বলতা দূরীকরণের লক্ষ্যে ছাত্র-শিক্ষক-অভিভাবকের সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণ ।

* সফটওয়্যার সিস্টেমে এসএমএস-এর মাধ্যমে অভিভাবকের সাথে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ ব্যবস্থা।

* নিয়মিত অভিভাবক সমাবেশ ও শিক্ষার্থীদের জন্য মূল্যায়ন সভা ।

* শিক্ষার মানোন্নয়নে অভিভাবক ও বিশেষজ্ঞদের সুচিন্তিত মতামত গুরুত্বসহকারে মূল্যায়ন।

* নিয়মিত বিতর্ক, আবৃত্তি, চিত্রাঙ্কন, রচনা প্রভৃতি বিষয়ে প্রতিযোগিতার আয়োজন ।

* সহশিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করার জন্য রয়েছে বিভিন্ন ধরনের ক্লাব।

* সকল কার্যক্রম সার্বক্ষণিক সিসিটিভি ক্যামেরা দ্বারা নিয়ন্ত্রণ ও পর্যবেক্ষণ।

* অত্যাধুনিক সাউন্ড সিস্টেম এবং সার্বক্ষণিক ইন্টারনেট সুবিধাসহ মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম।

* প্রতিটি অধ্যায় শেষে মূল্যায়ন পরীক্ষা গ্রহণ এবং অভিভাবককে ফলাফল জানানো।

আপনার সন্তানের সম্ভাবনাময় সুন্দর ভবিষ্যৎ বিনির্মাণে আমাদের অগ্রযাত্রায় সকলের

সহযোগিতামূলক মনোভাব ও সক্রিয় অংশগ্রহণ একান্ত কাম্য ।

Solverwp- WordPress Theme and Plugin