বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম। সকল প্রশংসা মহান আল্লাহর জন্য। কারণ, তিনি আমাদেরকে মানুষরূপে সৃষ্টি করেছেন এবং কলমের মাধ্যমে শিক্ষা দিয়েছেন যা আমরা জানতাম না। সুতরাং, ব্যক্তি ও জাতির সার্বিক উন্নয়নে শিক্ষার তুলনারোহিত অবদান অনস্বীকার্য । এই শিক্ষার বিস্তারে কালে কালে দেশে দেশে গড়ে তোলা হয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
সিভিল এভিয়েশন অথরিটি অব বাংলাদেশ কর্তৃক পরিচালিত সিভিল এভিয়েশন স্কুল এন্ড কলেজ, কুর্মিটোলা একটি অত্যাধুনিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এটি ১৯৭৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তা-কর্মচারীর পাশাপশি প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর সন্তানদেরকে আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত ও আলোকিত মানুষরূপে গড়ে তোলাই এ প্রতিষ্ঠানের অন্যতম লক্ষ্য ।
সিভিল এভিয়েশন স্কুল এন্ড কলেজ, কুর্মিটোলা ছাত্র-ছাত্রীর আচার-ব্যবহার, চাল-চলন, বিশ্বাস- মূল্যবোধ, চিন্তা- চেতনা, বন্ধু নির্বাচন, নেতৃত্ব, লেখাপড়া, খেলাধুলাসহ সকল বিষয়ে তাদের সহজ ও সুন্দর বিকাশের মাধ্যম হিসেবে সামাজিকীকরণ প্রক্রিয়ায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। ফলে শিক্ষার্থীরা জীবন দক্ষতায় উন্নত হয়ে জীবনের
সম্ভাব্য সমস্যা ও ঝুঁকি মোকাবেলা করতে শিখে এবং সকল পরিবেশে নিজেকে মানিয়ে নিতে পারে। তারা মাথা উঁচু করে বলতে পারে- ‘আমরা করব জয় নিশ্চয়।
ভাষা আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধ, বাংলাদেশ ও বঙ্গবন্ধু একই সূত্রে গাঁথা- আমাদের প্রেরণা ও শক্তির উৎস। তাই প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় ঋদ্ধ, দেশের ইতিহাস ও ঐতিহ্যের ধারক এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সোনার বাংলার স্বপ্ন বাস্তবায়নকারী আদর্শ নাগরিক হিসেবে গড়ার প্রত্যয়ে সিভিল এভিয়েশন স্কুল এন্ড কলেজ, কুর্মিটোলা বদ্ধপরিকর।
পরিশেষে সিভিল এভিয়েশন স্কুল এন্ড কলেজ, কুর্মিটোলার প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে সংশ্লিষ্ঠ শিক্ষানুরাগী ও বিদ্যোৎসাহী ব্যক্তিবর্গের প্রতি সশ্রদ্ধ কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি। এখানে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীরা তার স্বপ্নের সমান বড় হয়ে দেশ ও জাতির কল্যাণে নিজেদেরকে নিয়োগ করবে এবং এ প্রতিষ্ঠানের অব্যাহত অগ্রযাত্রা অটুট থাকবে- এ প্রার্থনা রইল।